বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

আশিয়ানা ঢুন্ডতে হ্যায়

নতুন পথিক দুজন হাতে হাত রেখে বেরিয়ে পড়েছি বিরাট এই দুনিয়ায়; আশিয়ানা খুঁজবো বলে। না জানি পথের নিয়ম, না চিনি নতুন কাছে পাওয়া এই শহরের অনধি-সন্ধিতে মিশে থাকা তার আত্মাকে। নতুন শহর, নতুন মানুষজন, নতুন অভিজ্ঞান চারদিকে ঘিরে ধরতে চায়; প্রশ্ন করে, "বাড়ি" কাকে বলে? ঠিক কতখানি আপনার হলে ইট-কাঠ-পাথরের আশ্রয় সত্তার অংশ হয়ে ওঠে, মায়ায় ঘিরে ধরতে চায়? উত্তর খুঁজি যখন বাইরের বারান্দায় থেকে অন্তহীন জীবনের স্রোত বেঁচে থাকার অনুভব দিয়ে যায় শিরায়-ধমনীতে, বুঝতে চাই যখন সন্ধ্যের বাজার-ফেরত ব্যস্ত পা ঘরে ফেরার আরাম চায়। 

তারপর, একদিন দুপুর আঁধার করে বৃষ্টি নামে। দুদিকের বারান্দা ভিজিয়ে ছাঁট এসে পৌঁছয় ঘরের অন্দরে। আলগা ছোঁয়াচ মেখে নিতে নিতে হঠাৎ আবিষ্কার করি পাশের এক ছাতিম গাছ কে, হঠাৎ বর্ষণের উল্লাসে রঙে রঙে উজ্জ্বল হয়ে থাকে নতুন পড়শী মাধবীলতা, করবি, রঙ্গনের দল। উত্তর এসে যায় খুব চেনা সোঁদা গন্ধ হয়ে, পুবে হাওয়া মেখে আমার নতুন সাজানো ঘর হঠাৎ ই বাড়ি হয়ে ওঠে।


স্পিতি-যাপন : পর্ব ৪

আমাদের স্পিতি সফরের দশ দিন বেঁধে রাখতে চাই শব্দের নিগড়ে। সেই প্রয়াসের আজ চতুর্থ পর্ব। দিন ৪: ছিতকুল-...