কেমন যেন মৃত্যু-কঠিন হয়ে উঠেছে চারপাশ। বাইরে নির্মেঘ তীব্র নীল আকাশ আর ঝকঝকে ছুরির মত নির্মম রোদ দিনের বুকে এতটুকু ছায়ার আঁচল ও রাখতে দেয়নি, এমনি প্রকট। তার উপরে বার্তা আসে মৃতুর, বার্তা আসে অসুন্দরের। যেন অনেক বয়েস হয়ে গেছে এই পৃথিবী টার, ঘোলাটে দু-চোখে তার যেন আর ধরা পড়ে না জীবনের সবুজ। মনের মধ্যেও উষরতার বাস, অস্থির সময় শুধু উল্টে-পাল্টে যায় বালির স্তূপ, সৃষ্টি আসেনা। দিনের ক্লান্তিভার জমে ওঠে শুধু, নতুন ছন্দ খুঁজে পাই না। শুনি কোথায় যেন বৃষ্টি এসেছে, বিগত জন্মের স্মৃতির মত মনে আসে সোদা বাস, জলের শব্দ; আমার রাজ্যে পূবে হাওয়া আসেনা সজল শ্বাসে। দূরদেশ থেকে দেখি চেনা মানুষদের হাসিমুখ; চেনার নৈকট্য টুকু ধরা দেয়না। ধূসর থেকে ধূসরতর হয়ে উঠি আমি, আরো বেশি গম্ভীর আরো বেশি ক্লান্ত। এক অনির্দেশ্য চলা-এ চলতে চলতে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলি। তার উপর বার্তা আসে মৃত্যুর, বার্তা আসে অসুন্দরের। যেন মৃত্যু-কঠিন হয়ে উঠেছে চারপাশ, জীবনের এখানে প্রবেশ নিষেধ।
সোমবার, ১০ জুন, ২০১৩
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
স্পিতি-যাপন : পর্ব ৪
আমাদের স্পিতি সফরের দশ দিন বেঁধে রাখতে চাই শব্দের নিগড়ে। সেই প্রয়াসের আজ চতুর্থ পর্ব। দিন ৪: ছিতকুল-...

-
আমি সেই বিরল প্রজতির একজন, যাদের কলকাতার গ্রীষ্ম ভারী প্রিয়। দিবা দ্বিপ্রহরের দারুণ অগ্নিবাণ, আপাদমস্তক স্বেদ-সিক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার ক্লান্তি...
-
হঠাত হঠাত ইচ্ছে হয় না, আমি যদি আমি না হয়ে অন্য কেউ হতাম ভাবতে? কেমন হত জীবন টা--কোন নিয়মে ব্নাধা থাকত আমার চলা-বসা--কারা থাকত আমার চা...
-
ওর সঙ্গে আমার আলাপ লঞ্চ এ। হাওড়া-বাগবাজার সকাল নটার লঞ্চে রোজ দেখতাম, হালকা রঙের শাড়ি পরা, কালো কাপড়ের ব্যাগ হাতে, কেমন যেন ধূসর চেহারা। প...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন