আজকে লিখতে বসেছি বটে, কিন্তু মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে কোনো কথা আসছে না লিখে ফেলার মত, লেখার মত হাতে কিছুই নেই, এই দিন টা ছাড়া। শুধু এই দিন টা--এই রোদ ঝলমল করা শীতের সকাল গড়িয়ে বেলা হতে চলা সময় টা--আকাশের একটা দিক জুড়ে রোদেলা বেলায় ওই যে ছোট্ট ছোট্ট মেঘেদের পিকনিক--এই যে রোদ্দুরে পিঠ দিয়ে বসে ইউনিভার্সিটি র ছাদ থেকে দেখা ছবির মত গোটা ক্যাম্পাস টা, শীতের শুরু তে সবার গায়ে ঝলমলে শীত-পোশাক আর চলনে-বলনে অকারণ হাসির ঝলক ...বেচে থাকা টা হঠাত ই খুব ভালো লেগে যায়, নেশা ধরানো ভালো লাগা ..এই মিঠেকড়া রোদের ওমে কলকাতার শীত কমলালেবু পীঠেপুলি আর মায়ের আদরের জন্যে মন-কেমন চেখে নেওয়া টাও ভারী আরামের লাগে। কলকাতায় এখন আলোয় আলোয় সেজে ওঠা দীপাবলী, এখানেও এগিয়ে আসছে উত্সবের মরসুম, আরো একটা জন্মদিন ও এসে পড়ল বলে, আর ওদিকে বাড়ি যাওয়ার দিন গোনার পালা শুরু হয়ে গেছে--এই সময়ের ভালো লাগা টা ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে এই নরম রোদে, ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে এই শীতার্ত হাওয়ায় ... এই রকম এক একটা সময়ের অপেক্ষাতেই আরো একটা দিন বেচে থাকা যায়, এই রকম এক এক বিন্দু মধুর পূর্ণতার প্রত্যাশাতেই আরো একবার বেচে উঠি অনেক ধূসর মৃত্যুময়তার পার থেকে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
স্পিতি-যাপন : পর্ব ৪
আমাদের স্পিতি সফরের দশ দিন বেঁধে রাখতে চাই শব্দের নিগড়ে। সেই প্রয়াসের আজ চতুর্থ পর্ব। দিন ৪: ছিতকুল-...

-
আমি সেই বিরল প্রজতির একজন, যাদের কলকাতার গ্রীষ্ম ভারী প্রিয়। দিবা দ্বিপ্রহরের দারুণ অগ্নিবাণ, আপাদমস্তক স্বেদ-সিক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার ক্লান্তি...
-
হঠাত হঠাত ইচ্ছে হয় না, আমি যদি আমি না হয়ে অন্য কেউ হতাম ভাবতে? কেমন হত জীবন টা--কোন নিয়মে ব্নাধা থাকত আমার চলা-বসা--কারা থাকত আমার চা...
-
ওর সঙ্গে আমার আলাপ লঞ্চ এ। হাওড়া-বাগবাজার সকাল নটার লঞ্চে রোজ দেখতাম, হালকা রঙের শাড়ি পরা, কালো কাপড়ের ব্যাগ হাতে, কেমন যেন ধূসর চেহারা। প...